মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার উন্নত পরিবেশ: পুতুল

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-12-28 15:08:31
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার উন্নত পরিবেশ: পুতুল

সবাই এগিয়ে না এলে, কাজ না করলে এগোবে না

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে পরিবার থেকেই পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শারীরিক চিকিৎসায় নানা কর্মকৌশল থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ছিল না। এ জন্য নানা পরিকল্পনা আমরা করেছি। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটা উন্নত পরিবেশ দরকার। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই হবে না, আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। পরিবার থেকেই এটি চালু করতে হবে। পরিবারেই তাকে যেন দুর্বল করে দেখা না হয়।’

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্ট ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল পরিকল্পনা ২০২০-৩০ এর অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুতুল।

তিনি বলেন, ‘আজ গর্ব করে বলতে হয় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলাদেশের একটি কর্মকৌশল আছে, একটি আইন আছে। কিন্তু সবাই এগিয়ে না এলে, কাজ না করলে এগোবে না। সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। জাতি হিসেবে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। সেখান থেকে উন্নত দেশের কাতারে এসেছি, তাহলে কেন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের মতো জায়গায় এগোতে পারব না?’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উন্নতি করতে চাইলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এখানে ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের ৬০ ভাগই খরচ হচ্ছে ট্রেনিংসহ অন্যান্য কাজে। তাই বরাদ্দ বাড়ানো খুবই জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যে যে ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যে স্কিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করে যেতে হবে। সেবার ব্যবস্থাপনা, মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি, ই-মেন্টাল হেলথ ও গবেষণাসহ প্রত্যকেটিরই কিছু না কিছু কাজ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনস্টিটিউট তৈরির পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের ট্রেনিং দেওয়া হবে। ২০২০ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী অপারেশন প্ল্যান তৈরি হয়েছে। ৮ বিভাগে যে নতুন মেডিকেল কলেজ হচ্ছে সেখানেও মানসিক স্বাস্থ্য রাখা হয়েছে।’

এ সময় জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নে একটা বডির প্রয়োজন। যেটি বিএমডিসি মাধ্যমে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দরকার। কিন্তু এগুলোতে এখনো ঘাটতি রয়েছে। গত দুই বছরে আত্মহত্যা বেড়েছে। কীভাবে এটি রোধ করা যায় সেই কৌশল এতে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পিতামাতা ও সবার সচেতনতা দরকার। আমাদের মনের যত্ন নিতে হবে। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এটি যুক্ত করতে হবে।’


আরও দেখুন: