নতুন উপধরন: বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-12-25 12:37:16
নতুন উপধরন: বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ

বিএফ.৭ উপধরন একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে

করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় সব স্থল, বিমান স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সব বন্দরে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএফ.৭ উপধরন একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। অর্থাৎ অন্য ধরনের চেয়ে এটির সংক্রমণ ক্ষমতা চারগুন বেশি। উপসর্গ অন্যান্য ধরনের মতো হলেও এটি খুব কম সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারবে।’

কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ তুলে ধরে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘শনিবার রাতের বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। সেখানে আছে চতুর্থ ডোজ নিয়ে নিতে হবে সম্মুখ সারির ব্যক্তিদের। এ জন্য প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। যারা কোমরবিডিটির মধ্যে আছেন, তাদের অবশ্যই সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার, নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বন্দরে সিডিসি থেকে চিঠি দিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আইসোলেশনে নিতে বলা হয়েছে। যেসব দেশে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি সেসব দেশ থেকে আগতদের পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।’

করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। এরই মধ্যে ভারতসহ ৯১টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে। ভারতে শনাক্ত প্রথম ‘ডেলটা’ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ সরকার আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করেছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘দেশে করোনার নতুন কোনো ধরন কিংবা উপধরন এলে, দ্রুত শনাক্তের সব ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্স চলমান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনের নতুন কোনো উপধরন শনাক্ত হয়নি।’

দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ আসে প্রথম মৃত্যুর খবর। এরপর থেকে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ১৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৪৩৮ জন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে। শুক্রবার থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে মাত্র সাতজন।

এদিকে চীন-ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দেশ দুটির কাছে আক্রান্তদের সঠিক তথ্য চেয়েছে। নতুন উপধরন শনাক্তে পূর্ণাঙ্গ জিন বিশ্নেষণের তথ্য সর্বসাধারণের জানার জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে উপধরনটি প্রতিরোধে ব্যাপক হারে টিকাদানের ওপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


আরও দেখুন: