অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সন্দেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

অনলাইন ডেস্ক
2022-12-25 12:25:43
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সন্দেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের শিশুখাদ্য ‘সন্দেশ’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের শিশুখাদ্য ‘সন্দেশ’। এসব পণ্য আবার অনুমোদনহীন মোড়ক লাগিয়ে দেদারছে বিক্রি করছে একটি চক্র। বিভিন্ন সময় অভিযান ও জরিমানা করেও এসব কারখানা স্থায়ীভাবে  বন্ধ হচ্ছে না। ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে শিশুরা। সূত্র : আরটিভি অনলাইন। 

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে  দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে অবৈধ সন্দেশ কারখানা। মানিকগঞ্জ থেকে শুভরাজ নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় অপূর্ব সন্দেশ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। বিভিন্ন বাজারের মিষ্টির দোকান থেকে ফেলে দেওয়া মিষ্টির গাদ কম দামে কিনে আনেন তিনি। ওই মিষ্টির গাদের সোটা, রং, নিম্নমানের সুজি ও আটা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশু খাদ্য সন্দেশ।

ওই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের হাতেও কোন গ্লাভস নেই, অনেকেই খালি গায়ে কাজ করছেন। তাদের শরীরের গাম ঝরে পড়ছে সন্দেশের ওপর।

এছাড়াও পাশের ডোবা ও টয়লেটের মশা-মাছি জীবানুসহ অনায়াসে সন্দেশ তৈরির উপকরণ ও সন্দেশে আনাগোনা করছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা এসব সন্দেশ প্লাস্টিকের বাটিতে ভরে এবং ভুয়া মোড়ক লাগিয়ে আকর্ষনীয় করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে। মোড়কে প্রস্তুতকারক অপূর্ব ফুড প্রোডাক্টস লেখা আছে। তবে, তাতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জীবানুযুক্ত ওই সন্দেশ খেয়ে শিশুরা ডাইরিয়া, কলেরা, ট্রাইফয়েট, পেট ব্যথা এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকটে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সন্দেশ কারখানাটি চলে আসলেও দেখার কেউ নেই। এর আগেও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও অজ্ঞাত ক্ষমতাবলে আবারো চলছে কারখানাটি। তবে শিগগিরিই কারখানাটি বন্ধ করে শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানাটির মালিক শুভরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমরা ব্যবসা করে খাই, মদের ব্যবসা করছি না। এতে জেল জরিমানা হলে হবে। তাতে কোনো সমস্যা নেই।

শিগগিরিই ওই সন্দেশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। 


আরও দেখুন: