প্রাথমিকে নির্বাচিতদের ডোপ টেস্ট লাগবে
নির্বাচিত প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পেতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর মধ্যে অন্যতম হলো নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ/প্রত্যয়ন ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নয় মর্মে উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এ ছাড়া নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব নথি যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব মূল সনদ (সব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, তিন কপি পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ/প্রত্যয়ন এবং ডোপ টেস্ট রিপোর্ট, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদসহ সশরীর উপস্থিত হতে হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তিন সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্বকার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা/সন্ত্রাসী/জঙ্গি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন মর্মে প্রতীয়মান হলে তিনি চাকরিতে অনুপযুক্ত হবেন।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ প্রদান, সব মূল সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে না পারলে এবং পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম প্রদানে ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ে তিনি নিয়োগপত্র পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ ও তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।