চিকিৎসা-বর্জ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে: টিআইবি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-12-13 15:30:31
চিকিৎসা-বর্জ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে: টিআইবি

৬০ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা-বর্জ্য রাখার জন্য পাত্র নেই। ৮৩ শতাংশ হাসপাতালে বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেই

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিকিৎসা-বর্জ্য তৈরি হয় বাংলাদেশে। ক্ষতিকর এ বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা দুর্বল। অপরিশোধিত ও ক্ষতিকর এ চিকিৎসা-বর্জ্য বাজারে বিক্রি করছে একটি চক্র। দেশে চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা চলছে।

চিকিৎসা-বর্জ্য নিয়ে এক গবেষণায় এ দুর্নীতি-অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার অনলাইন প্লাটফর্মে এক অনুষ্ঠানে ‘চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়।

টিআইবি দুই শতাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে।

এ ছাড়া চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্ত বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের কাজটি টিআইবি করেছে ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা-বর্জ্য রাখার জন্য পাত্র নেই। ৮৩ শতাংশ হাসপাতালে বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা নেই।

টিআইবি বলছে, হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ ও ঠিকাদারদের একটি চক্র অপরিশোধিত চিকিৎসা-বর্জ্য আবার বাজারে ফিরিয়ে আনছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন, পরিশোধন— সব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনবলের সংকট রয়েছে। যে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়োগেও আর্থিক দুর্নীতি ছিল। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যুক্ত।

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইনে দুর্বলতা আছে। ২০০৮ সালে বিধিমালা হলেও চিকিৎসা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো তৈরি হয়নি।’


আরও দেখুন: