যেসব কারণে 'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস' উপাধি পেলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষে লিসবন শহরে আইডিএফ ২০২২ এর আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
আবারো স্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক উপাধি পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তিনি বাংলাদেশকে গর্বিত করলেন বিশ্বের প্রথম 'গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস' হিসাবে স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে। সোমবার ৮টি কারণে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই উপাধিতে ভূষিত করেছে। কারণগুলো হলো :
১. ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
২. দেশের সকল টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের বিনামূল্যে জীবনরক্ষকারী ইনসুলিন প্রদান। যা বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটা রুগ্ন শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার বহিঃপ্রকাশ।
৩. সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডি কর্নার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রুগীদের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে ডায়াবেটিসের ঔষধ প্রদান করা।
৪. ঔষধের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখতে পারা।
৫. কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও এনসিডি কর্নারে প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সকল ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ।
৬. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ডায়াবেটিস সেবার সুযোগ তৈরির জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলেছেন।
৭. ডায়াবেটিস গবেষণায় অর্থায়ন, প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদান।
৮. দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজে পর্যায়ক্রমে ডায়াবেটিস সেবার মান উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল তৈরির জন্য হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ (এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগ ) প্রতিষ্ঠা।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষে লিসবন শহরে আইডিএফ ২০২২ এর আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
তথ্যসূত্র : অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ
বিভাগীয় প্রধান
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল