ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট
১৯৮৩ সালে তার জন্ম ধরা হলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়
তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের করা প্রতারণা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) আদালতের বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রণপ কুমার বিষয়টি জানান। আগামী ২২ ডিসেম্বর মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেন।
সাবরিনা ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে তার জন্ম ধরা হলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বরপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় দণ্ডবিধির ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
গত ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি।