বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মেধাবী চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক দলীয় পরিচয় নিরূপণ করে তাদের একাডেমিক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী অধ্যাপকসহ ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র তৃতীয় গ্রেডে (অধ্যাপক) পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের রীতি ছিল।

বুধবার এক বিবৃতিতে ডা. রফিকুল বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার উদ্দেশ্য নিয়ে শুধুমাত্র সরকারি দলের লেজুড়বৃত্তিকারী চিকিৎসকদের পদোন্নতি সুগম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনে মেধাবী চিকিৎসকদের কাছ থেকে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হচ্ছে- তারা স্বাচিপ সদস্য কিনা। ওই সংগঠনের সদস্য না হলে তাদের নামে নেগেটিভ রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এই মেধাহীন অযোগ্য চিকিৎসকরা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিষফোঁড়ার কাজ করবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবার মানের দিক দিয়ে ধস নামবে। রোগীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা আসবে।

ডা. রফিকুল বলেন, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সকল চিকিৎসক কর্মকর্তাদের চাকরিতে প্রবেশকালীন সময়েই পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় সেহেতু পদোন্নতির প্রতিটি ধাপে পুলিশ ভেরিফিকেশনের অর্থ হচ্ছে প্রকৃত মেধাবী চিকিৎসকদের হয়রানি করা ও পদোন্নতি বঞ্চিত করার অপকৌশল। দলীয় পরিচয় নিরূপণ করে মেধাবী চিকিৎসকদের একাডেমিক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বাদ দেওয়া এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ পেতে যাচ্ছে।

দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের পদোন্নতির জন্য এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রহসন থেকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্তকারীদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এই কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান।