যেকোনো মূল্যে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, শহীদ ডা. মিলন বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এদেশে আর কখনও গণতন্ত্র ব্যাহত হবে না।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ডা. মিলনের শহীদ হওয়ার ৩২ বছর পার হয়ে গেল। সেদিন একই রিকশায় বিএমএ তৎকালীন মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও শহীদ ডা. মিলন ছিলেন। তাদের ওপর হামলার পর চারদিকে এ কথা ছড়িয়ে পড়ে দুজনই মারা গেছেন। পরে জানা যায়, ডা. মিলন শহীদ হয়েছেন। এরপর আমরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এমনভাবে অংশগ্রহণ করি যেন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যায়।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওই সময়ে গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতির প্রতিবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কবিরের নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে আমরা অনেকেই পদত্যাগ করি।

তিনি বলেন, ডা. মিলনের স্বপ্ন গণতন্ত্র বাংলাদেশে বজায় থাকুক। আজকের দিনের শপথ হোক কোনোভাবেই যেন এদেশে গণতন্ত্র নিশ্চিহ্ন না হয়, গণতান্ত্রিক ধারা যেন ব্যাহত না হয়। যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা চক্রান্তকারী, যারা উন্নয়ন চায় না, যারা গণতন্ত্র নিশ্চিহ্ন করতে চায়, তাদের রুখতে প্রগতিশীল সকল চিন্তা ধারার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করে যেতে হবে। ডা. মিলনের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনে সহযোগিতাও করতে হবে।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।