চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত, বাবা-ছেলে কারাগারে
হাত দিয়ে খাবার দেখার জন্য দোকানী ফরিদ ব্যাপারীর সঙ্গে ডা. ফাহিম রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটের সামনে চিকিৎসক ফাহিমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা শহরের মালগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বুধবার রাত ৯টার দিকে মেডিকেলের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ জড়িতদের রাতেই গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের দুই নম্বর গেটের বিপরীতে নতুন রাস্তায় বসা সকল ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বুধবার রাতেই তার বাবা ঢাকার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বগুড়ায় এসে সদর থানায় মামলা করেন। সে মামলায় ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালের সামনের রাস্তার সকল ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফাহিম ও তার বন্ধুরা মেডিকেল কলেজের দুই নম্বর গেটে সামনে ঝাল-মুড়ি খেতে যান। সেখানে হাত দিয়ে খাবার দেখার জন্য দোকানী ফরিদ ব্যাপারীর সঙ্গে ফাহিম রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় বিক্রেতার ছেলে শাকিল পেঁয়াজ কাটা চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে। পরে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রলীগ বগুড়া শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ফাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুরিকাঘাতে তার নাড়ি কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার ফাহিমের জ্ঞান ফিরলেও ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হলে কিছু বলা যাবে না।