১০ মাসে ধর্ষণের শিকার ৬৪৩ নারী
ধর্ষণের প্রবণতা নারীর সমতা ও ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে
করোনা মহামারীর পর মাত্র ১০ মাসে দেশে ৬৪৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার শিকার ৮২ শতাংশ নারীর বয়স ২০ বছরের নিচে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
‘নারী ও কন্যার প্রতি যৌন সহিংসতা (ধর্ষণ) ও তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততাবিষয়ক’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের প্রবণতা নারীর সমতা ও ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুব জনগোষ্ঠীর যৌন সহিংসতার শিকার হওয়ার প্রবণতা বেশি। জরিপে ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যুব জনগোষ্ঠীর যৌন সহিংসতার অপরাধী হওয়ার প্রবণতা বেশি।’
তিনি বলেন, ‘যুব জনগোষ্ঠীর যৌন সহিংসতার ঘটনায় অপরাধী হয়ে ওঠার জন্য সমীক্ষায় আর্থসামাজিক পটভূমি এবং অপরাধীদের পারিবারিক অবস্থা, অভিভাবকদের যথাযথ সুপারভিশনের অভাব রয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত না হওয়াকে শক্তিশালী প্রভাবক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে ভিকটিমকে দোষারোপ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের অজ্ঞতা, প্রসিকিউটরদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থতা, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্ব; ভিকটিম এবং মামলার সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হলে সুনির্দিষ্ট নীতি ও তা বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।