চাঁদপুরে ৬ জনের এইডস শনাক্ত
বিনামূল্যে মুখের লালা এবং রক্ত পরীক্ষা করে ১০ মিনিটের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করা হয়
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বিনামূল্যে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এইচআইভি পরীক্ষা চালু হয়। এ পর্যন্ত এখানে সর্বমোট ২ হাজার ৯৮৭ ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে পজিটিভ রোগের সংখ্যা ছয়জন এবং নেগেটিভ ২ হাজার ৯৮১ জন।
রক্ত ও মুখের লালা সংগ্রহ করে এই পরীক্ষাটি করা হয়। সদর হাসপাতালে থাকা এইচটিসি, এআরটি সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত অনেকেই বিনামূল্য এ সেবা গ্রহণ করেছেন। এইচআইভি পরীক্ষা করে অনেক রোগীই শনাক্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ জন ব্যক্তি হাসপাতালের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এইচআইভি পরীক্ষা করাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০২০ সালে একযোগে দেশের ২৩টি জেলা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচটিসি এআরটি সেন্টার চালু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এই সেবামূলক সেন্টারটি চালু করা হয় ২০২০ সালের মার্চে। তারপর থেকেই এখানে রোগীদের বিনামূল্যে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
যেসব ব্যক্তি রোগ নির্ণয়ের জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করাতে আসেন, তাদের মুখের লালা এবং রক্ত পরীক্ষা করে ১০ মিনিটের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করা হয় বলে জানান দায়িত্বরতরা।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের নিচতলায় থাকা এইচটিসি এআরটি সেন্টারে মোট ৩ জন জনবল এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এর মধ্যে সেবা সেন্টারের ফোকালপার্সন হিসেবে রয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল, কাউন্সিলর কাম এডমিনিস্ট্রেটর মো. হাবিবুল হক আখন্দ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সলেমান হোসেন।
তারা জানান, এ পর্যন্ত এখানে সর্বমোট ২ হাজার ৯৮৭ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ছয়জনের পজিটিভ এসেছে। বিদেশগামী, প্রবাস থেকে আসা উপসর্গ থাকা লোকজন, বিশেষ করে মাদকাসক্ত ও যৌনকর্মীদের হাসপাতালে এসে এই সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান ডা. সুজাউদ্দৌলা।