পোষা প্রাণী থেকেও হতে পারে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্ট
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্ট
দেশে ক্রমেই প্রাণী পোষা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পোষা প্রাণীর সাথে মানু্ষের থাকে আবদ্ধ বন্ধন। কিন্তু এতে রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুর, বিড়াল, পাখির মত পোষা প্রাণী অনেক সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এসব রোগের চিকিৎসায় অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। ফলে অনেক প্রাণীই আক্রান্ত হয় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্সে। অর্থাৎ কিছু কিছু এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টিরিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে একই শরীরে ভবিষ্যতে সেই এন্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না।
ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়া এই সমস্যায় দেখা যাচ্ছে প্রাণীরা বিভিন্ন মাল্টিপল ড্রাগ রেজিস্টেন্ট অর্গানিজমে আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ আক্রান্ত প্রাণীদের দেহে নির্দিষ্ট কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ ভবিষ্যতে আর কাজ করবে না।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ঢাকায় একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার পাখি ও বিড়ালের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, টেট্রাসাইক্লিন বা এম্পিসিলিনের মত এন্টিবায়োটিক ৫০ থেকে একশত ভাগ রেজিস্টেন্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া পাখির দেহে কলিস্টিন সাল্ফেট এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে- যা আতঙ্কজনক। কারণ এই এন্টিবায়োটিক মানুষের জন্য সংরক্ষিত একটি ওষুধ। মানব শরীরে এই ধরণের রেজিস্টেন্ট ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করলে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷
শুধু প্রাণী থেকেই যে ব্যাক্টেরিয়া মানব শরীরে প্রবেশ করবে তা নয়। এর উল্টোও হতে পারে।