সড়ককে নিরাপদ করতে শক্তিশালী আইন জরুরি
বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত স্মরণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পক্ষাঘাত হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর) মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনার
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত স্মরণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পক্ষাঘাত হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর) মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রোড সেইফটু কোয়ালিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা সকল বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ৮ম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিন লাখের বেশি মানুষ। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের সড়ক নেটওয়ার্ককে নিরাপদ করতে জাতীসংঘ প্রণীত গাইডলাইন অনুসরে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিরাপদ যানবাহন নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ ও চালকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবিদুল গণির সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফিক ডিরেক্টর মিশুক মুনিরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচলাক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), বাংলাদেশ অর্থেপেডীক সোসাইটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সেমিনারের পূর্বে নিটোর থেকে শিশুমেলা পর্যন্ত একটি সচেতনতামূলক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।