গরিব দেশের ক্ষতিপূরণে ঐতিহাসিক সমঝোতা
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় তহবিল
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে ঐতিহাসিক ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কপ২৭ সম্মেলনে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাতে মিশরের শার্ম-আল-শেখে প্রেসিডেন্ট সামি শৌকরি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেওয়ার পর সম্মেলনকক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। খবর বিবিসির।
জলবায়ু পরিবর্তনে গরিব দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে এবারের সম্মেলনে ব্যাপক দেনদরবরার চলছিল। শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর হওয়া এই ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তিতে ধনী দেশগুলো কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে আর ক্ষতিগ্রস্তরাই বা কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
বিবিসি বলছে, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে সহায়তায় একটি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারে এই ভয় থেকেই ধনী দেশগুলো গত ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিশরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।
এ নিয়ে কূটনীতিকদের লাগাতার আলোচনা চলে। শনিবার রাতেও আলোচকদের বিধ্বস্ত চেহারা কারও নজর এড়ায়নি। তবে ঐতিহাসিক সমঝোতার ঘোষণা আসার পর সম্মেলনকক্ষের চিত্র বদলে যায়, সবার চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর স্বস্তি।
গরিব দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে সমঝোতা হওয়ার পর এখন সম্মেলনের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা চলছে। নানা মতবিরোধ থাকায় এটি ঠিক হতেও বেশ সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।