৫৯ শতাংশ শিশু একটি সাইবার অপরাধের শিকার
৫৬ শতাংশ কিশোর ও ৬৪ শতাংশ কিশোরী ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে
ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে পৃথক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৯ শতাংশ শিশু একটি সাইবার অপরাধের শিকার। ৩৮ ও ২৬ শতাংশ যথাক্রমে দুটি ও তিনটি সাইবার অপরাধের শিকার।
দেশের শিশু ও কিশোর–কিশোরীদের ওপর এই দুটিসহ মোট ২৬টি পৃথক গবেষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিএসএমএমইউতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গত পাঁচ বছরে করা এসব গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় শিশুদের সাইবার অপরাধের মধ্যে ছিল উপহাস–গুজব বা অপমান, অসৎ উদ্দেশ্যে বেনামে যোগাযোগ, যৌন নিপীড়নমূলক বার্তা কিংবা মন্তব্য, যৌনতাপূর্ণ ছবি বা ভিডিও।
একটি গবেষণা গ্রামের ৪৬০ শিশুকে নিয়ে। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৭ বছর। ২০২১ সালে শহর ও গ্রামের নবম ও দশম শ্রেণির ৪৫৬ শিক্ষার্থীর ওপর করা অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ কিশোর ও ৬৪ শতাংশ কিশোরী ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গ্রামের চেয়ে শহরের কিশোর–কিশোরীরা দেড় গুণ বেশি নির্যাতনের শিকার।
গবেষকরা বলছেন, যেসব কিশোর–কিশোরী ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ ও চ্যাটরুম নিয়মিত ব্যবহার করে, তাদের নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যেসব বাবা–মা বা অভিভাবকের ইন্টারনেট সম্পর্কে জ্ঞান বা ধারণা কম, তাদের সন্তানদের ঝুঁকি বেশি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউ গবেষণায় গুরুত্ব বাড়িয়েছে। এখন প্রয়োজন গবেষণার এসব ফলকে কাজে লাগানো।’
অনুষ্ঠানে পাঁচজন গবেষক গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্যে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. আতিকুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অনেক আইনকানুন, সনদ থাকার পরও শিশু ও কিশোর–কিশোরীর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।’