নিউমোনিয়া আক্রান্ত ৪২ ভাগ শিশুর রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি
আইসিডিডিআর,বি-তে আয়োজিত বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের প্রায় ৪২ শতাংশই হাইপক্সেমিয়া তথা রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভোগে। এ কারণে দেশে প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৫ হাজার শিশু প্রাণ হারাচ্ছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
‘মেডিকেল অক্সিজেন নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআর,বি’র মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী আহমেদ এহসানুর রহমান।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে বছরে ৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষ মারাত্মক অক্সিজেন ঘাটতিতে ভোগেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ৩ কোটি ২০ লাখ।
এহসানুর রহমান উল্লেখ করেন, হাইপক্সেমিয়ায় আক্রান্ত যে কোনো রোগীর জন্য চিকিৎসা হিসেবে অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিস্থিতিতে হাইপক্সেমিয়া ঘটতে পারে। এরমধ্যে- শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত নবজাতক থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, সেপসিস এবং যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশু, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), হৃদরোগ ও হাঁপানিসহ আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। এনেস্থেশিয়াসহ প্রায় সব ধরনের বড় অস্ত্রোপচারকালে অজ্ঞান করবার সময়ও মেডিকেল অক্সিজেন দেয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
আইসিডিডিআর,বির নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়র বিজ্ঞানী (হাসপাতাল) ডা. মোহাম্মাদ জোবায়ের চিশতি বলেন, কোডিড-১৯ মহামারির সময় হাসপাতালে রোগীদের একটি বড় সংখ্যকের অক্সিজেনের প্রয়োজন হত। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তখন বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পালস অক্সিমিটার এবং বাবল সি-প্যাপের মতো স্বল্প মূল্যের উদ্ভাবনকে গ্রহণ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইডের ইভালুয়েশন অ্যান্ড লিনিং অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার ড. কান্তা জামিল, ইউএসএইডের ড. ফিদা মেহরান, আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র ডিরেক্টর (এমসিএইচডি) ডা. শামস এল আরেফিন, হেড অব রিসার্চ (এমসিএইচডি) ড. কামরুন নাহার, ডাটা ফর ইমপ্যাক্টের কান্ট্রি লিড ডা. মিজানুর রহমান এবং নলেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট সুস্মিতা খান প্রমুখ।