খাদ্যাভাসে বাড়ছে তরুণদের স্ট্রোক
তরুণ সমাজ ফাস্টফুড বেশি খাচ্ছে। বিপরীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার কম খাচ্ছে। ফলে রক্তে চর্বি বেড়ে যাচ্ছে
খাদ্যাভাসের কারণে তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
সম্প্রতি ডক্টর টিভির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘স্ট্রোক মূলত বার্ধক্যজনিত রোগ। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকে কম বয়সে স্ট্রোক করছেন। এর পেছনে মূলত দৈনন্দিন খাদ্যাভাস দায়ী।’
অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণ সমাজ ফাস্টফুড বেশি খাচ্ছে। বিপরীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার কম খাচ্ছে। ফলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ ছাড়া তরুণদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ থাকে। তারা স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আসছে না। নিজেও জানে না রোগগুলোতে তারা আক্রান্ত। ফলে এসব রোগের প্রভাবে স্ট্রোক করছে।’
তিনি বলেন, ‘মস্তিস্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে ইসকেমিক স্ট্রোক হতে পারে। আবার রক্তনালি ফেটে গিয়ে হতে পারে হিমোরেজিক স্ট্রোক।’ এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘স্ট্রোক হয়েছে কি না বোঝার উপায়গুলো হলো, হঠাৎ শরীরের একদিকে দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া, কথা অস্পষ্ট অথবা জড়িয়ে যাওয়া কিংবা একেবারে বুঝতে ও বলতে না পারা, চোখে ঝাপসা দেখা, একই জিনিস দুটি করে দেখা বা একেবারেই দেখতে না পারা, হঠাৎ মাথা ঝিমঝিম, ঘোরা, হতবিহ্বল হয়ে পড়া বা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। স্ট্রোকের মারাত্মক লক্ষণ হলো, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, বমি, খিঁচুনি বা জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।’
লক্ষণগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা করলে বড় ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা সম্ভব। ফার্স্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজে ও দ্রুত স্ট্রোক শনাক্ত করতে পারেন চিকিৎসকরা। এই পদ্ধতিতে যেকোনো সাধারণ মানুষও স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিনে নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।