বরগুনায় চিকিৎসক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জেলা বিএমএ'র
শাপলা ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার।
রোগীর দায়ের করা মামলা তদন্ত না করেই ডা. বশির আহমেদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) বরগুনা জেলা শাখা। সোমবার (৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমের কাছে প্রতিবাদ বিবৃতি পাঠান বরগুনা জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মো. আবদুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. কামরুল ইসলাম।
বরগুনা জেলা বিএমএর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. গোলাম সরোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে চিকিৎসক গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান বিএমএ নেতারা।
তারা বলেন, ‘জনৈক রোগী চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগের কোন প্রকার তদন্ত বা সত্যতা যাচাই ছাড়াই ডা. বশির আহমেদের মতো একজন প্রথিতযশা চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে ঠুনকো অভিযোগে চিকিৎসকদের হয়রানি করলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে থাকে বলেও অভিমত বিএমএ নেতাদের।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২ নভেম্বর) পাথরঘাটা হাসপাতাল রোডের শাপলা ক্লিনিকে সুরমা আক্তার নামে এক রোগী ভর্তি হন। পরীক্ষা নিরীক্ষায় অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে তাঁর। ওই দিন রাত ১০টার দিকে অপারেশন শুরু করেন ডা. বশির আহমেদ। অস্ত্রোপচারের সময় তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিসের পাশে আরেকটি টিউমারের অস্তিত্ব দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তিনি রোগীর এ অপারেশনে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে বরিশাল নেওয়ার জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর স্বজনদের নির্দেশ দেন।
এ সময় স্বজনদের অনুরোধে ঢাকা থেকে আসা সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তরুণ কুমার দ্বিতীয়বার অপারেশনের উদ্যোগে নেন। তিনি টিউমারের সঙ্গে নাড়ির প্যাঁচ লাগানো দেখে অপারেশন করতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনিও রোগীকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর রোগীর বাবা লাহু হাওলাদার থানায় মামলা করেন। এজহারে ডা. বশির আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তরুণ কুমার ও হাসপাতাল মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে শাপলা ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছেন পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার।