ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান অনেক আগে থেকেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ বিধি ৭১ এ আনীত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তাঁর ভাষায়, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭২-এ ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা আছে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার বিধানও রয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের আনা প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হবে। তার কিডনি বিকল হতে পারে। শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ওষুধ ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ওষুধ আইন-২০২২ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। পরে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। নতুন আইনে যে ধারাগুলো রয়েছে- যারা লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করবে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা। লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেটে বা যেকোনোভাবে ওষুধ বিক্রি করে তার জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা আছে। আর যদি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি করে তার জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।