দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুই অসংক্রামক রোগে

অনলাইন ডেস্ক
2022-11-03 16:52:22
দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুই অসংক্রামক রোগে

খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় স্ট্রোকের রোগী সবচেয়ে বেশি

দেশে প্রতিবছর ২২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে রোগী বাড়ছে। মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই ঘটছে অসংক্রামক রোগে। চিকিৎসায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় ব্যক্তির পকেট থেকেই যাচ্ছে। এতে বছরে প্রায় ৮৬ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে। দেশে বছরে চিকিৎসা বাবদ ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, যার মধ্যে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় দেশের বাইরে। অর্থাৎ শুধু উন্নত চিকিৎসার পেছনে প্রতিবছর এই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে চলে যায়।

বুধবার (২ নভেম্বর) ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সিএমইডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে আসে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এ মামুন। তিনি জানান, তাদের পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে- খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় স্ট্রোকের রোগী সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরায় প্রতি হাজারে ৪ জন করে এবং সাতক্ষীরায় ৩ জন করে রোগী মিলেছে। দেশের ৫০টি ইউনিয়নে চালানো গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পেয়েছেন তারা।

২০১৯ সালের শেষে পিকেএসএফের সমৃদ্ধি কর্মসূচির সহযোগিতায় সিএমইডি হেলথ এই গবেষণা পরিচালনা করছে, যা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিওও মো. আশরাফ দাউদ, ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ মাইনুল এইচ চৌধুরী, হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. একেএম নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘হেলথ কেয়ার’ মানেই ডাক্তার আর ওষুধ নয়। ব্যক্তির কর্মপরিবেশ, আয় সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। দেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধু রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একজন ব্যক্তি এবং জাতির স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি, খরচ এবং সময়কে কমিয়ে দিতে পারে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে, যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সবার জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করে তুলবে।


আরও দেখুন: