দেশে ভালো মানের যক্ষ্মার চিকিৎসা হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে ভালো মানের যক্ষ্মার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাঁরমতে, আমাদের দেশে এখন টিবির ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এগুলো দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করবো। একই সঙ্গে দেশে ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছর ৩ লাখেরও বেশি মানুষ যক্ষায় আক্রান্ত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা নির্মূলের ভিশন বাস্তবায়ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যৌথ মনিটরিং মিশন টিম কাজ করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিবি পরিস্থিতির অগ্রগতি হচ্ছে। ব্যাপকভিত্তিতে টিবি স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলছে। আমাদের সব হাসপাতালে যক্ষ্মা পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। টিবির বিষয়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু স্টিগমা আছে। তবে পরিবর্তন আসছে। মানুষ এখন কুসংস্কার এড়িয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে যক্ষ্মায় ৭০ হাজারের অধিক মৃত্যু ছিল এখন তা ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সব ব্যবস্থা রয়েছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০২১ সালে নতুন করে ফুসফুসের যক্ষায় আক্রান্ত রোগীদের ৯৫ ভাগকে শনাক্ত করে তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় যক্ষা সংক্রমনের হার ছিল ২১৫ জন। ২০২১ সালে সংক্রমনের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে।
দেশে সব ধরনের যক্ষা রোগীর শনাক্ত বেড়েছে। এর সংখ্যা ২০১৫ তে ছিল ২০৬৮৬৬ জন। ২০২১ এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৬৫৩১ জনে।