উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরাই বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত
বিশ্বে বছরে ৫০ লাখ মানুষ স্ট্রোকে মারা যান।
রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া বা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়াই স্ট্রোক। স্ট্রোকের কারণে শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যায়, কথা বলায় দেখা দেয় জড়তা। স্বাভাবিক জীবনযাপন বিঘ্ন হয়। অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।
প্রতিরোধযোগ্য অসংক্রামক রোগটি বাংলাদেশে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক গবেষণা বলছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রতি হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সেই হিসাব অনুযায়ী দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যায় স্ট্রোকে আক্রান্ত প্রায় ১৮ লাখ। আর এর ৬৪ শতাংশই পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
পারিবারিক ও সামাজিক নানা চাপ মাথায় নিয়ে চলেন অর্থ উপার্জন করা ব্যক্তিরা। পরিবারের অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে ক্ষয় করেন শারীরিক ও মানসিক শক্তি। এক সময় আক্রান্ত হন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রমক রোগে, যা মস্তিষ্কের ক্ষরণ ত্বরাণ্বিত করে।
গবেষণা আরও বলছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার হার বেশি। প্রতি হাজারে আট নারীর বিপরীতে ১৪ পুরুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য সেবনের প্রবণতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া প্রেসারের ওষুধ নিয়মিত না খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসও রোগটির জন্য কাল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা বাইরে কাজ করেন এবং অর্থ উপার্জন করেন, পরিবারের স্বার্থেই তাদের নিজেদের যত্ন নিতে হবে। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শারীরিক ব্যায়াম, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির প্রতি আরও যত্নশীল ও সহযোগিতারপূর্ণ হতে হবে।