প্রতি হাজার অন্তঃসত্ত্বার ১১৩ জনই কিশোরী
সরকারি হিসাবে কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ে ও শিশু মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি হওয়ায় জেলাটিতে প্রকল্পটি শুরু করা হয়
করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরে বেড়েছে বাল্যবিয়ের হার ও অল্পবয়সে গর্ভধারণ। সরকারি তথ্য বলছে, প্রতি এক হাজারে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ১১৩ জনই কিশোরী।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশের ‘ইমাজিন প্রকল্প’র কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন গর্ভবতীর বয়স ১৫ বছরের নিচে। আর প্রতি তিনজন গর্ভবতীর মধ্যে একজনের বয়স ১৯ এর নিচে। এ পরিস্থিতিতে বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীদের প্রথম সন্তান জন্মদান বিলম্বিতকরণের উদ্যোগ নেয় কেয়ার বাংলাদেশ।
দেশে সবচেয়ে বাল্যবিয়ে প্রবণ কুড়িগ্রাম জেলায় ইমাজিন প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ৬০টি ক্লাব। যেখানে বিবাহিত-অবিবাহিত কিশোরীরা যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আয়মূলক দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এমনকি নিজের সঙ্গে সে অন্যায় হয়েছে, সেটি যেন আর কারও সঙ্গে না হয়, সেজন্য বাল্যবিয়ে রোধ করতে ভূমিকাও রাখছে তারা।
প্রকল্প প্রোগ্রাম ম্যানেজার লাভলী ইয়াসমিন জেবা বলেন, সরকারি হিসাবে কুড়িগ্রামে বাল্যবিয়ে ও শিশু মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি হওয়ায় জেলাটিতে প্রকল্পটি শুরু করা হয়।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন শেখ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (মাতৃ, শিশু ও কিশোর) ড. মো. শামসুল হক, কেয়ার বাংলাদেশের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক নসব্যাচ প্রমুখ।