প্রথম বাংলাদেশি ডা. বাবরের ‘আমা দাব্লাম’ জয়
বাবর আলীর বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বুধবার সন্ধ্যা লাগতে পারে
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডা. বাবর আলী জয় করেছেন পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চূড়া নেপালের খুম্বু রিজিওনের ‘আমা দাব্লাম’। ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট পাহাড়ের চূড়ায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) লাল-সবুজের পতাকা উড়ান তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভার্টিকাল ড্রিমারস পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অন্যতম কঠিন পর্বত ‘আমা দাব্লাম’ এখন আমাদের। মঙ্গলবার সফল সামিট শেষে সঙ্গীসহ বাবর আলী ক্যাম্প-২ এ পৌঁছান। দলের একজন শেরপা আগেই নেমে এসে বেসক্যাম্পে এ সফলতার খবর জানান। সামিটের সময় বাবর আলীর সঙ্গে ছিলেন তার পুরোনো পর্বতারোহী বন্ধু বীরে তামাং। তিনি ক্লান্ত হলেও সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে।
আমা দাব্লাম জয়ে বাবর আলীকে সহায়তা করে স্নোয়ি হরাইজন ট্রেক্স অ্যান্ড এক্সপিডিশন প্রাইভেট লিমিটেড। বাবর আলীর বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বুধবার সন্ধ্যা লাগতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী বাবর আলী আইসিডিডিআর-বির ইমার্জিং ইনফেকশাসের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি একাধারে সাইক্লিস্ট ও ম্যারাথন রানার। ভারতের নেহরু ইনস্টিউট অফ মাউন্টেইন থেকে পর্বাতরোহনের কোর্স করেন। এরপর হিমাচল প্রদেশের ২০ হাজার ৭৮ ফিট উঁচু মাউন্ট ইউনামে উড়ান বাংলাদেশের পতাকা। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে তিনি ২২ হাজার ৩৪৯ ফিট আমা দাব্লামের শীর্ষে পৌঁছালেন তিনি।
আমা দাব্লাম শব্দের অর্থ মায়ের গলার হার। এর দুই দিকের ছড়ানো বরফ মালার মতো মনে হয়। আমা দাব্লামের বিখ্যাত ইয়েলো টাওয়ার অসম্ভব খাঁড়া (প্রায় ৮০ ডিগ্রি)। পর্বতের এই অংশে তাঁবু ফেলে পর্বতারোহীরা। ২০ হাজার ফিট উচ্চতায় ক্যাম্প টুতে মাত্র ৭-৮ টি তাঁবু ফেলার মতো জায়গা থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে আমা দাব্লাম অভিযান পরিচালনা করেন দুবারের এভারেস্ট বিজয়ী এমএ মুহিত। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত সামিট না করেই ফিরে আসেন তিনি।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম বুড়িশ্বর গ্রামে জন্ম বাবর আলীর। তিনি এসএসসি পাস করেন সরকার মুসলিম হাইস্কুল থেকে। ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে।