ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কেড়ে নিল ১২ প্রাণ
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে গাছ পড়ে ও নৌকাডুবিতে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ভোলায় চারজন, কুমিল্লায় তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, ঢাকা, বরগুনা ও নড়াইলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝড়ো হাওয়া আর ভারি বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে।
সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।
এর মধ্যে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন, নড়াইলের লোহাগড়া, বরগুনা সদর উপজেলায় গাছ ভেঙে ছয়জনের মৃত্যু হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ যায় এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়। আর ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগে দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়।