৬০তম সিওমেক দিবস আজ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
আজ ২২ অক্টোবর। সিলেট মেডিকেল কলেজের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৬২ সালের এই দিনে এমবিবিএস ১ম ব্যাচ এর শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির।
ইউকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে, এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর সিলেটে অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৮ সালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সিলেট মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তরের দাবীতে আন্দোলন হলে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকারের আমলে এটিকে সিলেট মেডিকেল কলেজ নামে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়।
স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রসার ঘটায় ১৯৬৮-৬৯ সালে কলেজ ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৭১-৭২ সালে ক্যাম্পাসটি চৌহাট্টা থেকে কাজলশাহ এলাকায় স্থানান্তর করা হয়।
১৯৮৬ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ‘সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ ইন কমান্ডার’ জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণী ওসমানীর নামানুসারে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ’ রাখে। যা সংক্ষেপে সিওমেক নামে পরিচিত।
এখানে ১৯৬২ সাল থেকে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (ইন্টার্নশিপ) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম. বি. বি. এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। যাতে প্রতিবছর ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে। ২০১২ সাল থেকে ৪ বছর মেয়াদী বি. ডি. এস. ডেন্টাল ডিগ্রি চালু রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৫২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম :
৫টি বিষয়ে এম. ফিল করানো হয়।
১. এনাটমি, ২. প্রাণরসায়ন, ৩. প্যাথোলজি, ৪. ফার্মাকোলজি ও ৫. অণুজীববিজ্ঞান।
এম. ডি. কোর্স চালু আছে ৬টি বিষয়ে :
১. ইন্টারনাল মেডিসিন, ২. কার্ডিওলজি, ৩. পেডায়েট্রিক্স, ৪. সাইকিয়াট্রি,. ৫. ডার্মাটলজি ও ৬. রেডিওলজি।
এম. এস. ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে ৬টি বিষয়ে :
১. জেনারেল সার্জারি, ২. গাইনী এন্ড অবস, ৩. অপথ্যালমলজি, ৪. পেডায়েট্রিক সার্জারি, ৫. অর্থো-সার্জারি, ৬. ইউরোলজি,
ডিপ্লোমা চালু আছে ২টি বিষয়ে :
১. এনেস্থেসিয়া, ২. ফরেনসিক মেডিসিন।
বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএস-এর অধীনে এই উচ্চতর কোর্সগুলো পরিচালিত হচ্ছে।