হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার : ডা. ইমরান
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাবির ছাত্রদের হামলা ও ভাংচুর
হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরে জড়িতদের শনাক্ত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় ডক্টর টিভিকে তিনি জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন তারা।
ডা. ইমরান বলেন, হাসপাতালে হামলার সময় অনেকেই ভিডিও করেছেন। তাই ফুটেজ দেখে দোষী শনাক্ত করা অতি সহজ হবে। চিহ্নিত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে বিরতি দিয়েছেন। দোষীদের আইনের আওতায় আনলেই কাজে ফিরবেন তারা।
এদিকে, আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আজ দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসবেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
হাসপাতাল পরিচালকের কাছে সকল দাবি উত্থাপন করবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত : হলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে শাহরিয়ার নামের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান বলে জানান হলের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর পরই তিনি মারা যান।
নিহত শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁঁর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
এ ঘটনায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, আহত শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তবে ওই শিক্ষার্থী ঠিক কিভাবে পড়ে যান তা জানাতে পারেননি ছাত্র উপদেষ্টা।