আত্মহত্যা ঠেকাতে দরকার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রাধিকার অপরিহার্য
নানা কারণ থাকলেও একজন মানুষ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমান ঘটনা প্রতিরোধে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা সতর্কতার সঙ্গে করা দরকার।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর ব্যানবেইস ভবনে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনেস্কো ক্লাবস ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় এ মতামত তুলে ধরেন বিশিষ্টজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্যান্য চিকিৎসাগত অসুস্থতা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জাতীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রাধিকার অপরিহার্য।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভালো করার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর এত বেশি চাপ দেয় যে, তারা সমাজের মুখোমুখি হতেও লজ্জিতবোধ করে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মন থেকে ‘জিপিএ-৫’ পাওয়ার চিন্তা দূর করতে হবে।
ক্লাবের সভাপতি সৈয়দা মিনুফার নাসরীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় কমিশন ফর ইউনেস্কোর (বিএনসিইউ) উপমহাসচিব মো. সোহেল ইমাম খান, ইউনেস্কো ক্লাবের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।