রেটিনা সমস্যার অবহেলায় হতে পারে অন্ধত্ব

অনলাইন ডেস্ক
2022-09-25 15:18:23
রেটিনা সমস্যার অবহেলায় হতে পারে অন্ধত্ব

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার বিশ্ব রেটিনা দিবস হিসেবে পালিত হয়

চোখের রেটিনা বা পর্দা যেমন সংবেদনশীল, তেমনি স্পর্শকাতর। নানা রকম শারীরিক রোগ ও চোখের সমস্যায় রেটিনা আক্রান্ত হয়। কিন্তু অবহেলায় পুরোপুরি অন্ধত্বর বরণ করতে হতে পারে। এ জন্য সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকা জরুরি।

রেটিনা হলো চোখের একেবারে ভেতরের একটি পাতলা পর্দা, যার ওপর আলো পড়লে আমরা দেখতে পাই। এটি দশটি পরতে বা স্তরে তৈরি। বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

বাংলাদেশে রেটিনার রোগ বেড়েই চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে জনসচেতনতা তৈরি করতে রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব রেটিনা দিবস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার বিশ্ব রেটিনা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

রেটিনার রকমফের রোগ
> ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি: রোগটিতে চোখের সব অংশেরই ক্ষতি করে। তবে সবচেয়ে বেশি করে রেটিনার। এর ফলে রোগী অন্ধও হয়ে যেতে পারে। সমীক্ষা বলছে, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির জন্য অন্ধত্ববরণ করে শতকরা ১২ দশমিক ৫ ভাগ। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, এমনকি রেটিনা ছিড়েও যেতে পারে।

> উচ্চ রক্তচাপজনিত: উচ্চ রক্তচাপ সর্বব্যাপী রোগ। এতে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত। ডায়াবেটিস থাকলে উচ্চ রক্তচাপ থাকা খুবই স্বাভাবিক। এ রোগে চোখের রেটিনার নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি হয় রক্তনালি ছিড়ে যাওয়া।

> বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়: ম্যাকুলা হলো রেটিনার ৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার একটি জায়গা, যা সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল। মূলত ম্যাকুলার মাধ্যমেই আমরা কোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখি, রং চিনি। বয়সের কারণে এই ম্যাকুলার কোষগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের দেশেও মানুষ এখন দীর্ঘ জীবন পাচ্ছে। তাই সত্তরোর্ধ্ব মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এই রোগে মানুষ একেবারে অন্ধ হয় না। তবে পড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

> অপরিণত শিশুর রেটিনার রোগ: এটি অপেক্ষাকৃত নতুন সমস্যা আমাদের দেশে। কোনো শিশু ৩৫ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করে, ওজন দুই কেজির কম হলে রোগটি হতে পারে। ২৪ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশুও বেঁচে থাকছে, বড় হচ্ছে। এদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

চিকিৎসায় করণীয়
> ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর থেকে নিয়মিত প্রতিবছর একজন চক্ষু অথবা রেটিনা বিশেষজ্ঞকে দেখানো

> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

> উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা

> রক্তের চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা

> স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণ

> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

> নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করা

> দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে দূরে থাকা

> ধূমপায়ী হয়ে থাকলে তা বর্জন করা

> দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারে সামান্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক দেখানো ও তার পরামর্শ মেনে জীবনযাপন করা


আরও দেখুন: