করোনার সাফল্য বিনিময়ে প্রস্তুত ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে বৈশ্বিক গণপণ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান
কভিড-১৯ এর মতো ভবিষ্যৎ মহামারী সমন্বিত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘কভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশনে একথা বলেন তিনি। খবর বাসসের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কভিড ব্যবস্থাপনায় অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
কভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা জোরদার করতে বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের একত্রিত করার প্রয়াসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো এবং বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করেন।
জাপান, থাইল্যান্ড, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ ও সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন।
আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরে বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবনরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতি ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারীর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
টিকা ও অন্যান্য কভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত ACT-A এবং COVAX-এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপাক্ষিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কভিড মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি— মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে বৈশ্বিক গণপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সব দেশের মধ্যে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্নআয়ের দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।
সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে কভিড-১৯ মোকাবিলায় কভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ছয়টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া মহামারী চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।