দেশেই যে ক্যান্সার ভালো হচ্ছে
অবসাদগ্রস্ততা, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন কমে যাওয়া, রাতে ঘেমে যাওয়া, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া— এসব সিএমএলের উপসর্গ
মানুষের শরীরে অন্তত ৩০ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রক্তের ক্যান্সার বা লিউকোমিয়া অন্যতম। নিউকোমিয়ার আবার নানা উপধরন আছে, যার একটি ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া বা সিএমএল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিএমএল রক্তের এমন ক্যান্সার, যা শ্বেতকণিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এই ক্ষতিগ্রস্ত করার কাজটি ধীরে ধীরে হয় বহু বছর ধরে। মানুষের বংশগতির বাহক ক্রোমোজোমের ৯ ও ২২ নম্বরের বিনিময়জনিত ত্রুটির কারণে সিএমএল দেখা দেয়।
সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখকে বিশ্ব সিএমএল সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশেষ সেমিনার আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগ।
বাংলাদেশে কোন ক্যান্সারে কতজন আক্রান্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান কোনো দপ্তরে নেই। তবে ক্যান্সার পরিস্থিতির ওপর নজরদারির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবোকনের হিসাবে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৫ জন নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় ২ হাজার ৮১২ জন এবং মারা যায় ২ হাজার ১৩২ জন।
বৈশ্বিক এ হিসাবে সিএমএলের পৃথক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে রক্তের ক্যান্সারের ৫ থেকে ১০ শতাংশ সিএমএলের। এর প্রকোপ নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে কিছুটা বেশি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, দেশে সিএমএলের চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। ওষুধও দেশে পাওয়া যায়। সিএমএলের চিকিৎসায় কোনো মানুষের দেশের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। তবে এ রোগের ব্যাপারে মানুষের সচেতন হওয়া ও সতর্ক থাকা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
অবসাদগ্রস্ততা, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন কমে যাওয়া, রাতে ঘেমে যাওয়া, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া— এসব সিএমএলের উপসর্গ। এগুলো দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।