গোপালগঞ্জের ভন্ড কবিরাজকে আমৃত্যু কারাদন্ড
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, গোপালগঞ্জ
অপচিকিৎসায় প্রতিবন্ধী শিশু মো. নূর ইসলাম (৯) হত্যা মামলায় ভন্ড নারী কবিরাজ মোসা. আকলিমা বেগমকে (৩৯) আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন গোপালগঞ্জের একটি আদালত। একই সঙ্গে বিজ্ঞ বিচারক তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মোসা. আকলিমা খাতুন মুকসুদপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের লতিফ শেখের স্ত্রী। তিনি এলাকায় ভন্ড কবিরাজ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ও অপচিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আদায় করতেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত (পলাতক) ছিলেন।
মামলার বিররণে জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার কানুড়িয়া গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ৯ বছরের শিশু সন্তান মো. নূর ইসলাম জন্মগত প্রতিবন্ধী ছিল। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ সকালে ওই শিশুকে চিকিৎসার জন্য কবিরাজ মোসা. আকলিমা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্বীনে ধরেছে এমন কথা বলে কবিরার তার বাড়ির পাশের কুমার নদীতে চুবিয়ে ও মাথায় আঘাত দিয়ে ওই শিশুকে হত্যা করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানার সিন্দিয়াঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন মুকসদুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই মো. ওমর ফারুক ২০০৭ সালের ১৫ মে কবিরাজ মোসা. আকলিমা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক কবিরাজ মোসা. আকলিমা বেগমকে অভিযুক্ত করে এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
সরকার পক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান এবং আসামী পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবু তালেব শেখ মামলা পরিচালনা করেন।