‘দেশের কোথাও অবৈধ ক্লিনিক থাকবে না’
কেউ নিবন্ধন নম্বর তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে না টানিয়ে রাখলে আমরা অনিবন্ধিত হিসেবেই ধরে নেব
দেশের কোথাও অনিবন্ধিত ক্লিনিক থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম-সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালায় একথা জানান তিনি।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে ডা. আহমেদুল বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সরকারি বলেন, আর বেসরকারি; একটি ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা যদি না থাকে, সেই প্রতিষ্ঠান মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে, সেটি আমরা সহ্য করব না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ইউএসএআইডির ‘মামনি’ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালা হয়।
ডা. আহমেদুল বলেন, অনিবন্ধিত ক্লিনিক এবং যারা প্রতারণা করছে স্বাস্থ্য সেবার নামে, সেগুলোর প্রায় সবই বন্ধ করে দিয়েছি। অনিবন্ধিত কোনো ক্লিনিক বাংলাদেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, কেউ নিবন্ধন নম্বর তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে না টানিয়ে রাখলে আমরা অনিবন্ধিত হিসেবেই ধরে নেব। আমরা আপনাদের খুব শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই। আপনাদের জেলায় কোনো অনিবন্ধিত ক্লিনিক থাকতে পারবে না। তা প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হোক, থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত ক্লিনিক মানেই মানুষের সেবা করছে, সেটি বলার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে আমি হাসপাতাল শাখার পরিচালককে বলেছি- স্বাস্থ্যসেবার ক্যাটাগরাইজেশন করার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ তৈরি করতে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, এমএনসিএইচ লাইন ডিরেক্টর ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।