চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে দায়ী ওয়াসার পানি

অনলাইন ডেস্ক
2022-09-15 15:01:45
চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে দায়ী ওয়াসার পানি

গত ১৯-২৫ আগস্ট আইইডিসিআরের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়

আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। হালিশহর, ইপিজেড পতেঙ্গাসহ আশেপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ পানীয় জলের মূল উৎস ছিল ওয়াসার পানি, যাদের ৬৪ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৯-২৫ আগস্ট আইইডিসিআরের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে রোগী, এলাকার পরিবেশ, পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়।

সম্প্রতি আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন সই করা প্রতিবেদনটি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেছেন, প্রতিবেদনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআইটিআইডিতে আগস্ট মাসে মোট ৮৯৮ জন নতুন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। এছাড়া কমিউনিটি পর্যায়ে তদন্ত দল আরও ১৩১ জন ডায়রিয়া রোগী শনাক্ত করে। বিআইটিআইডিতে ভর্তি রোগী ও কমিউনিটি পর্যায়ে শনাক্তকৃত রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।

তদন্ত চলাকালে ১৯০ রোগীর বিস্তারিত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৬ জন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৪ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ নারী ও ৫২ শতাংশ পুরুষ। তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশ পেশায় কল-কারখানার ও পোশাক কারখানার কর্মী।

প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে অধিবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয় চট্টগ্রামের সহায়তায় পানি বিশুদ্ধকরণ (ক্লোরিন) ট্যাবলেট বিতরণের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।


আরও দেখুন: