যশোরে ৩৫ দিনে ৮ এইডস রোগী শনাক্ত
আক্রান্তদের অনেকেই ভারত ও বাংলাদেশে বসবাস করেন। এখন পর্যন্ত জেলায় এইডস আক্রান্ত রোগী দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে
যশোরে আগস্টের পর সেপ্টেম্বরেও চারজনের শরীরে মরণব্যাধি এইডসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি-এইডস পরীক্ষা কেন্দ্র (এইচটিসি) সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে কখনও যশোরে মাত্র দুই মাস ব্যবধানে এত সংখ্যক এইডস রোগী শনাক্ত হয়নি। আক্রান্ত পরিস্থিতিকে সতর্কতামূলক বার্তা বলে মনে করছেন তারা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালের এইচটিসি সেন্টারে ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এইচআইভি টেস্ট শুরু হয়। এরপর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের শরীরে এইডসের জীবাণু পাওয়া যায়। আগস্টের শুরুতেও ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাসেরর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আক্রান্তদের অনেকেই ভারত ও বাংলাদেশে বসবাস করেন। এখন পর্যন্ত জেলায় এইডস আক্রান্ত রোগী দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, এইডস আক্রান্ত যেভাবে বাড়ছে, তা জনসাধারণের জন্য একটি সতর্কবার্তা। চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আটজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শনাক্ত করা গেলেও সরকারিভাবে চিকিৎসার জন্য থেরাপি সেন্টার নেই। এ জন্য আক্রান্তদের খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ৩৫ দিনের ব্যবধানে যশোরে ৮ জনের শরীরে এইডস শনাক্ত হয়েছে। এটি খুবই উদ্বেগের। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় আমরা ঝুঁকিতে আছি বেশি। এ জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে যশোরেও এইডস রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত আমরা এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।