আত্মহত্যার অন্যতম কারণ ইগো, ডিপ্রেসন : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
2022-09-12 22:26:36
আত্মহত্যার অন্যতম কারণ ইগো, ডিপ্রেসন : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বিএসএমএমইউ’র মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিক আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আত্মহত্যা শব্দটি হলো ইনটেনশনালী নিজেকে মেরে ফেলা। আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হলো ইগো। ইগো হলো নিজের মতামতের বাইরে অন্য মতামত অগ্রহণযোগ্য। 

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সোমবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের এ সেমিনারে বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, আত্মহত্যার অন্যতম আরেক কারণ হলো ডিপ্রেসন। ইদানিং ডিপ্রেসন বেড়ে গেছে। করোনায় অনেকের ডিপ্রেসনের কারণে ব্লাড প্রেসারও বেড়ে গেছে, ডায়াবেটিকস যাদের ছিল না তাদেরও ডায়াবেটিকস হয়েছে, চোখের পাওয়া বেড়ে গেছে। অনেকে চশমা পরত না তাদেরও চশমার প্রয়োজন হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, একাকিত্ব থাকার সময়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারের বৃদ্ধির কারণে অনেকে আত্মহত্যার দিকেও ধাবিত হচ্ছে। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে মানুষের ইগো বেশী থাকে। এ সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী থাকে। বাবা মা অথবা অভিভাবকদের এ বয়সের ছেলে মেয়েদেরকে সময় দিতে হবে। এ বয়সের ছেলে মেয়েরা কোথায় যাচ্ছে কী করছে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের খোঁজ খবর রাখতে হবে। এ বয়সী ছেলেমেয়েদের আবেগ বেশী থাকে। এ আবেগের কারণে ছেলে মেয়েরা প্রেম ভালবাসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেম ভালবাসা জনিত বিচ্ছেদের কারণে আত্মহত্যার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেনেটিক কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। পরিবারের মধ্যে কারো যদি এ ধরণের টেন্ডেসি থাকে তাদের এ সব বিষয়ে সচেতন হবে। তিনি মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও রেসিডেন্ট আত্মহত্যার কারণ, সম্প্রতি আত্মহত্যা বেড়ে যাবার কারণ ও প্রতিকার বের করার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দেবার নির্দেশনাও প্রদান করেন।

গুরুত্বপূর্ণ ওই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ এ্যাসোশিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, এটিসিবি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার। এছাড়াও সেমিনারে ‘ ‘ম্যানেজমেন্ট অব সুইসাইড সারভাইভারস’ এর উপর প্যানেলিস্ট হিসেবে বিশিষ্ট মনোশিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. এম মুহিত কামাল আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মহসীন আলী শাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সিফাত-ই-সাইদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জহুরা ও অনুষ্ঠানটির সমন্বয় করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আতিকুর রহমান।


আরও দেখুন: