বদলে গেছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র

অনলাইন ডেস্ক
2022-09-12 15:16:13
বদলে গেছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র

সহকর্মীদের সঙ্গে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল

চিকিৎসক-নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর সম্মিলিত ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১১ মাসে পুরো বদলে গেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র। মান-সম্মত চিকিৎসাসেবা পেয়ে সন্তুষ্ট আগত রোগীরা। হাসপাতালটির সেবাচিত্র বদলে দেয়ার নেপথ্য নায়ক ডা. কামরুল হাসান সোহেল। ডক্টর টিভির অনুসন্ধানে এসব আশাব্যঞ্জক তথ্য জানা গেছে।

২০২১ সালের ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন রোগীবান্ধব চিকিৎসক ডা. কামরুল হাসান সোহেল। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সেবার পরিধি এবং মান বাড়াতে সচেষ্ট হন তিনি। এ লক্ষ্যে সকল চিকিৎসক, নার্স, স্যাকমো, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, আয়া, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার, এম্বুলেন্স ড্রাইভার, অফিস স্টাফ সহ সবাইকে নিয়ে একটি টিম গড়ে তুলেন। যার নাম দেন 'টিম বরুড়া'।


এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ছিল অনেকটাই প্রাণহীন। কাংখিত সেবা না পেয়ে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। সেই প্রাণহীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল।

স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে :

রোগীদের ভাষ্যমতে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে টিম বরুড়া। হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেয়া নবজাতকদের শুভেচ্ছা উপহার দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল। একইসঙ্গে প্রসূতিদের ফুল-কোর্স এন্টিবায়োটিক, এক মাসের আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেয়ার প্রচলন শুরু করেন। এই মহতী উদ্যোগের ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে অল্পদিনের মধ্যেই বেড়ে যায় স্বাভাবিক প্রসবের সংখ্যা। আগে মাসে যেখানে ২০-২২ টি স্বাভাবিক প্রসব হতো, এখন প্রতি মাসে স্বাভাবিক প্রসব হয় ৫০-৫২ টি। গত ১১ মাসে ৫ শতাধিক স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

অপারেশন থিয়েটার চালু :

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পর ডা. কামরুল হাসান সোহেলের উদ্যোগে ও সুদক্ষ পরিচালনায় চালু হয় অপারেশন থিয়েটার। এ জন্য শুরুতে স্টোরে অবহেলায় পরে থাকা এনেসথেশিয়া মেশিন খুঁজে বের করতে হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট হয়ে পরে থাকা ওটি লাইট, এয়ার কন্ডিশন ও সাকার মেশিন মেরামত করতে হয়েছে।

২০২১ এর ৬ ডিসেম্বর এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন দিয়ে যাত্রা শুরু হয় অপারেশন থিয়েটারের। এখন প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত অপারেশন হয় এখানে। গত ১৬ মে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি সার্জারি সম্পন্ন করেন টিম বরুড়ার সুদক্ষ টিম।

করোনা মোকাবেলা ও ভ্যাকসিন প্রদান :

করোনা মোকাবিলায় কোভিড ভ্যাক্সিনেশন এ বরুড়া উপজেলা ছিল কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে পেছনের দিকের একটি উপজেলা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার সঠিক পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনায় বরুড়া উপজেলার ৭৬% জনগণকে কোভিড ভ্যাকসিন এর ১ম ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে। ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ পেয়েছেন ৭০% এবং ৩য় ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে ২৮% জনগণকে। 

এছাড়া ১২-১৭ বছর বয়সী ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ম ও ২য় ডোজ দেয়া হয়েছে। 

সহকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি :

টিম বরুড়ার সদস্যদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। প্রতি মাসে সেরা ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী (সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক) কে সম্মাননা জানান সার্টিফিকেট ও পুরষ্কার প্রদান করার মাধ্যমে।

স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফদের আগ্রহী করে তুলতে প্রতি মাসে সেরা ৩ জন নার্স/মিডওয়াইফ কে সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের তুমুল অনুপ্রাণিত করে। সবাই তার কাজের প্রতি আরো যত্নশীল হয়। সম্মাননা পেতে উদগ্রীব হয়ে উঠে নিজের সেরা সেবাটা দিতে সচেষ্ট হয় সবাই। এতে মাঠ পর্যায়ে সিএইচসিপি এবং মাঠ কর্মীদের সেবার মান বেড়েছে অনেক গুণ।

সিসি ক্যামেরা স্থাপন:

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার গুণগত মান বাড়াতে এবং হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা বিধান করার পাশাপাশি সেবা কর্মকাণ্ড মনিটরিং করতে হাসপাতালকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন।

আন্ত:যোগাযোগে পিএবিএক্স লাইন চালু :

সেবা প্রাপ্তি দ্রুত এবং সহজলভ্য করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিএবিএক্স লাইন চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার পাশাপাশি বেড়েছে সেবার মান, দ্রুততম সময়ে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে, রোগীদের হয়রানি কমেছে অনেকাংশে।

সিজারিয়ান অপারেশন :

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয় ১০ এপ্রিল ২০২২ ইং। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন হয়। গত ৪ মাসে ৪৯ টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল ইউনিট চালু :

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চলমান সেবার মান উন্নয়নে সন্তুষ্ট স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। এরই ফলশ্রুতিতে বরুড়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা উন্নয়ন ও পরিচালন প্রকল্প থেকে একটি ডেন্টাল চেয়ার, ডায়াথারমি মেশিন, পেশেন্ট মনিটর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
এরপর ২৬ মে প্রায় ২০ বছর পরে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল সেবা চালু হয়। এখানে লাইট কিউর ফিলিং, স্কেলিং, টুথ এক্সট্রাকশন সেবা দেয়া হচ্ছে বর্তমানে।

পেশেন্ট মনিটর স্থাপন :

অপারেশন থিয়েটারে চালু করা হয় পেশেন্ট মনিটর যা অপারেশন চলাকালীন রোগীর ভাইটাল সাইন (রক্তচাপ, শিরা, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, ইসিজি) দেখা হয়।

অভিযান পরিচালনা :

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই এই ধরণের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করেন এবং যারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাদের সতর্ক করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি জুম মিটিং এপস এর সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জুম লিংক এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদান করেম গাইনি কনসালটেন্ট ডা. শাহনাজ বেগম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল এই উদ্ভাবনী সেবার নাম দিয়েছেন ‘কানেক্টিং বরুড়া’।


মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন, ইপি আই সেশন পরিদর্শন, উঠান বৈঠক, স্কুল হেলথ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

এনসিডি কর্ণার স্থাপন :

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে সুসজ্জিত এনসিডি কর্ণার। গত ১৪ আগস্ট এটি  উদ্বোধন করেন কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের সাংসদ নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল। এনসিডি কর্ণার থেকে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন সেবা গ্রহণ করেন। ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টের রোগীদের ৩০ দিনের ঔষধ দেয়া হয় এনসিডি কর্ণার থেকে।

প্যাথলজি সুবিধা :

প্রতিদিন প্যাথলজিতে সেবা নেন ১৪০-১৫০ জন রোগী। আগে প্যাথলজি থেকে যেখানে প্রতিমাসে ২০০০০-২২০০০ টাকা রাজস্ব জমা দেয়া হতো এখন সেই প্যাথলজি থেকে প্রতিমাসে ১০০,০০০ টাকার উপরে রাজস্ব জমা দেয়া হচ্ছে সরকারি কোষাগারে।

চোখের চিকিৎসা :

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে চোখের নানা সমস্যায় ভোগা রোগীরা সেবা গ্রহণ করে থাকেন, তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরামর্শ দেয়া ছাড়াও ঔষধ, চশমা দেয়া হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে সেবা নিয়ে থাকেন।

গর্ভবতীদের গর্ভকালীন এবং গর্ভোত্তর সেবা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু রয়েছে এএনসি ও পিএনসি কর্ণার। প্রতি মাসে চার শতাধিক গর্ভবতী মহিলা এএনসি সেবা নিয়ে থাকেন এবং ৫০ এর অধিক মহিলা সেবা নিয়ে থাকেন এএনসি ও পিএনসি কর্ণার থেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব ও জরুরি প্রসূতি সেবা গ্রহণকারী মায়েদের বিনামূল্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সার্ভিস দেয়া হয়।

চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্ট রোগীরা:

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল ও তার টিমের নানা ধরনের উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড ও বিশেষ বিশেষ উদ্যোগের ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতি বরুড়াবাসীর আস্থা ফিরে এসেছে। সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা এখানে সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ও বেড়েছে অনেক।

বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়, বহির্বিভাগে আগে যেখানে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ রোগী হতো এখন সেখানে প্রতিদিন ৫০০-৫৫০ রোগী হয়, জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ৫০-৬০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকে, অন্তঃ বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৪৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। গড় বেড অকুপেন্সী রেট ১০৭-১০৮% এর উপরে থাকে।

টিম বরুড়ার স্বপ্নদ্রষ্টার বক্তব্য : 

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র পাল্টে দেয়ার কারিগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, স্বাস্থ্য সেবা একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, একটি টিম ওয়ার্ক। আজকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়ানোর পিছনে রয়েছে আমার টিম বরুড়ার প্রতিটি সদস্যের অবদান। আমার হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ওয়ার্ডবয়, আয়া, নার্স, মিডওয়াইফ, অফিস স্টাফ, চিকিৎসক থেকে শুরু করে আমার মাঠ কর্মী, সিএইচসিপি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র। আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

সবসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান কিভাবে বাড়ানো যায় তার প্রতি সচেষ্ট থাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইনকে ধন্যবাদ জানান ডা. কামরুল হাসান সোহেল।  

এছাড়াও নানাভাবে সহযোগিতা করায় বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা, জাইকা, বরুড়া ডক্টরস ফোরামসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান টিম বরুড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা ও  উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল। 

প্রসঙ্গত : ১৯৬৬ সালে ১০ শয্যার স্থাপনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। সময়ের পরিক্রমায় ১০ শয্যা থেকে বেড়ে বর্তমানে তা ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিণত হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি উন্নীত হতে যাচ্ছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসেবে।


আরও দেখুন: