অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরার চিকিৎসার যা জানা গেল
কিডনির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় ডায়ালাইসিস চলছে। সেব্রিনা ফ্লোরার জ্বর কমে এসেছে
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে।
তবে এখনও তিনি ভেন্টিলেটরের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে শ্বাস নিচ্ছেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) চিকিৎসকরা এই নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতেই চিকিৎসকরা তা করতে চান। তবে তার কিডনির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় ডায়ালাইসিস চলছে। সেব্রিনা ফ্লোরার জ্বর কমে এসেছে। তাছাড়া তার রক্ত পরীক্ষায় কোনো ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ না থাকায় এন্টিবায়োটিক বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনফেকশন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। এ জন্য তার প্যানক্রিয়াস এখনও কার্যকর হয়নি। এ কারণে তিনি এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং শুক্রবার থেকে কিছুটা ভালো বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পিত্তথলির চিকিৎসার জন্য এন্ডোস্কোপি করার পর বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, যে কারণে সেব্রিনাকে ভেন্টিলেশনে রাখা ও ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, তিনি গত দুদিন কিছুটা ভালো আছেন এবং তার ইউরিন আউটপুট শুরু হয়েছে। এছাড়া তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো এসেছে যদিও বাঁ দিকের ফুসফুস কিছুটা আক্রান্ত।
সেব্রিনা ফ্লোরার লাইফ সাপোর্টে থাকার খবর গত ২১ আগস্ট দেশের গণমাধ্যমে আসে। এরপর বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার পরিবারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। অসুস্থতার বিষয়ে গুজব বা বানোয়াট খবর না ছড়ানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর শুরু সময় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করতেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। টেলিভিশনে দেশের মানুষের সামনে নিয়মিত করোনা মহামারীর পরিস্থিতি নির্দিষ্ট সময়ে অবহিত করার একটি ধারা তিনি চালু করেছিলেন। তখন থেকেই তার নামটি দেশব্যাপী বেশ পরিচিতি পায়।