শিশুদের ১৪ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান শুরু
সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
রাজধানীসহ ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন ।
শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ফাইজারের এ টিকা। প্রথম পর্যায়ে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেশে এসেছে ৩০ লাখ ডোজ। প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া সরকারের লক্ষ্য ।
টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা
১. সারাদেশের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২. ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিনব্যাপী ১২টি সিটি কর্পোরেশনে ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ড এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩. প্রতিদিন ১ হাজার ৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে।
৪. ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
টিকার ধরন
১. শিশুদের উপযোগী ফাইজারের টিকা।
২. ডোজের সংখ্যা- ২
৩. ডোজের পরিমাণ ০.২ এমএল
৪. প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান- ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিন
টিকাদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন
১. সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
২. যে শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকরা জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
৩. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য দিতে করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, আজ ১৫ থেকে ২০টি শিশুকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হলো।
২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী এ বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া হবে। প্রথমে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে কার্যকর করা হবে।