চট্টগ্রামে ডায়রিয়া রোগীদের শরীরে কলেরার জীবাণু
এখন পর্যন্ত ১৭ জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে
চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী। আক্রান্ত অনেকের শরীরে কলেরার জীবাণু মিলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি থেকে কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইতিমধ্যে রোগের উৎপত্তির বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামে এসেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি দল। সাত সদস্যের এ দল ওয়াসাসহ বিভিন্ন খাবার পানির নমুনা সংগ্রহ করবেন।
বিআইটিআইডি হাসপাতালে বর্তমানে ৪০ ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন। গত পাঁচ দিনে এই হাসপাতালে ২৩৪ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এখানে ২০-২২ ডায়রিয়া রোগী থাকেন। বর্তমানে অনেক বেশি রোগী ভর্তি আছেন। শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নন, অনেকে কলেরার জীবাণু বহন করছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, হঠাৎ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বিআইটিআইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ ডায়রিয়া রোগী চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দা। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত নগরীর ফ্রি-পোর্ট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর ও উত্তর আগ্রাবাদে। আক্রান্তদের অনেকের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আক্রান্তরা বলেছেন তারা ওয়াসার পানি পান করেন। ওয়াসার পানি থেকে এ রোগ ছড়াচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।