নিবন্ধন ছাড়া শিশুদের টিকা নয়

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-08-14 15:05:34
নিবন্ধন ছাড়া শিশুদের টিকা নয়

করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কভিডে মৃত্যুর হার শূন্যে ও আক্রান্তের হার চার শতাংশের নিচে নেমে এসেছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে না।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কভিডে মৃত্যুর হার শূন্যে ও আক্রান্তের হার চার শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনো অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র চার কোটি মানুষ নিয়েছে। কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারা দেশেই জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কভিডের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫০ জেলায় নবজাতকের সুরক্ষায় বিশেষায়িত স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু) চালুর কথা জানানো হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্ক্যানু ইউনিট চালু করে সেগুলো শেখ রাসেলের নামে নামকরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সরকারের এসডিজি অর্জনে এই স্ক্যানু কাজ করবে। তবে এটা ঠিক যে, যেকোনো কিছু উদ্বোধন ও শুরু করা সহজ। কিন্তু সেটা ধরে রাখা কঠিন। আমরা চেষ্টা করব স্ক্যানুটা যেন হারিয়ে না যায়, যন্ত্রপাতি যেন নষ্ট হয়ে না পড়ে থাকে।

তিনি বলেন, স্ক্যানু চালুর ফলে ঢাকামুখী রোগীদের ভিড় কমবে। কিন্তু কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আবারও চাপ বেড়ে যাবে। আমরা অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করব যেন সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রমটি চলমান থাকে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, নবজাতকের সেবায় স্ক্যানু দারুণ ভূমিকা রাখবে। আমরা দেখি যে, দেশে প্রতি এক হাজার নবজাতকের মধ্যে ২৮ দিনের মধ্যে ১৮ শতাংশ মারা যায়। ১৮ শতাংশ নবজাতক মারা যায় ২-৮ দিনের মধ্যে।

অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, সিভিল সার্জন মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও দেখুন: