৫-১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা শুরু
বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে
দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রথম দিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৬ শিক্ষার্থী এই টিকা নেবে।
করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে গত ৩০ জুলাই। ওইদিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা আসে।
সরকার গত এপ্রিলে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের অনুমিত সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে আগামী ২৬ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে পূর্ণাঙ্গভাবে শিশুদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক বলেন, আমাদের হাতে এখন ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৩০ লাখ টিকা আছে। আশা করছি এ মাসের শেষে এক কোটি ডোজ টিকা চলে আসবে।
এখন পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন।
দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১০ দিন পর। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনও প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।