জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে প্যাপিলোভ্যাক্স

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-08-02 13:09:44
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে প্যাপিলোভ্যাক্স

প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে

দেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ভ্যাকসিন এনেছে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ নামে ভ্যাকসিনটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ ছাড়া ‘জরায়ুমখের ক্যান্সারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য একটি প্রচেষ্টা’ শীর্ষক সেমিনার হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা।

ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. টিএ চৌধুরী ও জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ডা. ই এইচ আরেফিন আহমেদ ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, প্যাপিলোভ্যাক্সের মাধ্যমে দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি নতুন যুগের সূচনা হলো।

সেমিনারে এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা এবং ক্যান্সার নির্মূলে নিয়মিত স্ক্রিনিং ও এইচপিভি ভ্যাকসিন প্যাপিলোভ্যাক্সের সূচনা হলে কীভাবে এটি জরায়মুখ ক্যান্সারমুক্ত দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে তা তুলে ধরেন বক্তারা।

সেমিনারে জানানো হয়, প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে।

বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অনেক বছরের অবহেলা। প্রতি বছর দেশে ১০ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায় এবং ৫ কোটির বেশি নারী এর ঝুঁকিতে আছে।

৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সব সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। এই ভ্যাকসিন দেশে বিদ্যমান অনেক দিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

এ ছাড়া প্যাপিলোভ্যাক্স আধুনিক প্রি-ফিলড সিরিঞ্জও বাজারজাত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে সম্পূর্ণ ডোজ এসেপ্টিক পরিবেশে তৈরি করা হয় এবং সম্পূর্ণ স্টেরাইল প্যাকেজিংয়ে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় বাজারে দেওয়া হয়।

প্রি-ফিলড সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন সরাসরি প্রয়োগ করা সহজ এবং আলাদা করে মাত্রা পরিমাপের প্রয়োজন নেই। ফলে আরও নিরাপদে ও সহজে সঠিকমাত্রার ডোজে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।


আরও দেখুন: