চিকিৎসককে মারধর, যুবক আটক
মারধরের শিকার চিকিৎসকের নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি চমেক হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য নির্ধারিত লিফটে উঠতে বারণ করায় এক চিকিৎসককে মারধর করেছেন রোগীর এক স্বজন।
রবিবার (৩ জুলাই) হাসপাতালের নিচতলায় ৬ নম্বর লিফটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে রিয়াজুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
মারধরের শিকার চিকিৎসকের নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি চমেক হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। মুখ ও হাতে ব্যথা পেয়েছেন তিনি। পরে হাসপাতালেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আটক রিয়াজুলের (৩৬) বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। ঘটনার পরপরই হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত লিখিত অভিযোগ দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, পঞ্চম তলায় ওয়ার্ডে ওঠার জন্য ৬ নম্বর লিফটে উঠি। এ সময় এক যুবক লিফটে ওঠার চেষ্টা করলে লিফটম্যান এটি স্টাফদের লিফট বলে তাকে জানান। এতে ওই যুবক বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। তখন আমি তাকে বললাম এটা স্টাফদের লিফট। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার ওপর চড়াও হন। এতে আমার শার্ট ছিড়ে যায়, হাতে ও মুখে ব্যথা পাই।
পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, লিফটম্যানের সঙ্গে রিয়াজুল তর্কে জড়ালে থামাতে এগিয়ে আসেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন ওই যুবক। পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারীরা তাকে ধরে পুলিশে দেন। ওই যুবক প্রসূতি বিভাগে রোগী দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।