সীমান্তে বহিরাগত বস্তু থেকে ছড়িয়েছে করোনা

অনলাইন ডেস্ক
2022-07-01 16:29:41
সীমান্তে বহিরাগত বস্তু থেকে ছড়িয়েছে করোনা

সীমান্ত এলাকায় কোনো বহিরাগত বস্তু বা বেলুন এলে তা সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

উত্তর কোরিয়া সরকার বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়াসংলগ্ন সীমান্তের কাছে কিছু ‘বহিরাগত বস্তু’ স্পর্শ করার কারণে তাদের দেশে করোনা ছড়িয়েছে।

করোনা প্রকোপের কারণ জানতে করা একটি তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে এমনটা বলছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার (১ জুলাই) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে তদন্তের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। খবর রয়টার্সের।

জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পিয়ংইয়ং। বাতাসে কিংবা অন্য কোনো আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় কোনো বহিরাগত বস্তু বা বেলুন এলে তা সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের শুরুর দিকে ১৮ বছর বয়সী এক সেনা এবং পাঁচ বছর বয়সী এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থী পূর্বাঞ্চলীয় কুমগাং কাউন্টির সেনা ব্যারাক ও আবাসিক এলাকার পাশের একটি পাহাড়ে অজ্ঞাত বস্তুর সংস্পর্শে আসেন। এরপর তাদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরীক্ষা করে জানা যায়, তারা করোনা পজিটিভ।

উত্তর কোরিয়ার পক্ষ ত্যাগ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যাওয়া ব্যক্তি ও অধিকারকর্মীরা সীমান্ত দিয়ে বেলুনে করে বিভিন্ন লিফলেট ও মানবিক সহায়তা পাঠিয়ে থাকেন। সীমান্তবর্তী মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

শুক্রবার কেসিএনএর ঘোষণায় বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কাংওন প্রদেশের ইফো-রি এলাকা থেকে রাজধানী শহরের দিকে আসা কয়েক ব্যক্তির জ্বর ছিল। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্রমাগত জ্বরে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় যারা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের অন্য অসুস্থতা ছিল। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়া বলেছে, দেশটিতে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৫৭০ জনের জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। গত এপ্রিলের শেষ থেকে এ পর্যন্ত জ্বরের উপসর্গ থাকার মানুষের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়াল।

পিয়ংইয়ং প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা উপস্থাপন করে থাকে। তবে করোনা পরীক্ষার কিটের ঘাটতি থাকায় এসব রোগীকে সুনির্দিষ্ট করে কভিডে আক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করে না তারা।


আরও দেখুন: