হেলিকপ্টারে বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বন্যার কারণে সড়ক পথে পরিদর্শন অসম্ভব। এজন্য মন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন
সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি নেমে ক্ষত জাগায় বাড়ছে মানুষের কষ্ট। বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় সোমবার (২৭ জুন) বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন স্বাস্থ্য ও পারিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালকের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজ সকালে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে সিলেটে উপস্থিত হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। মন্ত্রীর সঙ্গে আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
ফেসবুক পেজে আরও বলা হয়, বন্যার কারণে সড়ক পথে পরিদর্শন অসম্ভব প্রায়। এজন্য মন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা হেলিকপ্টারযোগে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তারা সিলেটের তাহিরপুর, বিশম্বরপুর, সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও ছাতক পরিদর্শন করেন। এরপর মতবিনিময় সভায় যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
এর আগে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সকাল ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে রওনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন শেষে বেলা ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৪ জন। সিলেট বিভাগেই ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮, সুনামগঞ্জে ২৬, মৌলভীবাজারে ৪ ও হবিগঞ্জে ৪ জন মারা গেছেন। আর ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৫, নেত্রকোনায় ৯, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৩ ও লালমনিরহাটে একজন রয়েছেন। তবে রাজশাহী বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৯০ জন।