বন্যার্তদের পাশে দেশের চিকিৎসকরা
দুর্গতদের পাশে এগিয়ে এসেছে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।
সিলেটসহ ১১টি জেলায় ভয়বহ বন্যায় দুর্গতদের পাশে এগিয়ে এসেছে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। ত্রাণ বিতরণসহ স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাও দিয়ে যাচ্ছে সংগঠনগুলো।
চিকিৎসকদের সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে । আজ সোমবার সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ৫০০ লোককে ত্রাণ বিতরণ করে সংগঠনটি । ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয় চিড়া, মুড়ি, চিনি, লবণ, মোমবাতি, স্যালাইন, লাইটার ও পানি।
সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, এন্টি হিস্টামিন, ক্লোরিন ট্যাবলেট, কার্বলিক এসিড (সাপের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য) ও স্যানিটারি প্যাড দেয়া হয়।
সংগঠনটির সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করা । কারণ যেসব অঞ্চলে যোগাযোগ দূরুহ সেখানে সচরাচর সাহায্য পৌঁছে না । মানুষ কাজের ব্যস্ততাতেও প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে পারে না । অথচ প্রত্যন্ত এলাকায় দরিদ্র মানুষের বসবাস বেশি । তাদের সাহায্য প্রয়োজন আরও বেশি । তাই প্রত্যন্ত এলাকায় আমরা কাজ করছি ।
অন্যদিকে চিকিৎসকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) হিউম্যানেটরিয়ান এইড রোববার রাতে এক ট্রাক শুকনা খাবার (চিড়া, গুঁড় , মুড়ি) ,বিশুদ্ধ পানি ,ঔষধ , খিচুড়ি তৈরীর সামগ্রীসহ প্রায় ৮ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আজ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে দীর্ঘ মেয়াদে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিডিএফ চিকিৎসকদের স্বাচ্ছাসেবক দল।
এদিকে মৌলভীবাজার বিএমএ'র দেয়া ২৫২ ডজন মোমবাতি, ৩০০ পিস লাইটার, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং তাদের নিজেদের সংগ্রহ করা টাকায় কেনা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আজ সোমবার সকালে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অফ মৌলভীবাজার।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রণয় দাশ বলেন, আমরা কাল সকাল ১১ টায় রওনা হয়েছি সিলেটের উদ্দেশ্যে। আমরা মোট ২০০ টি পরিবারকে সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছি। আশা করি আমরা একটু হলেও তাদের কষ্ট লাঘব করতে পারবো। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন সুষ্ঠভাবে যেনো আমরা সেবা দিয়ে আসতে পারি।