স্বাস্থ্যে বরাদ্দ খরচ হয় না কেন, জানালেন মন্ত্রী
বরাবরই আমাদের বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাজেট বাস্তবায়নে স্লো। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকে না
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘কেমন হলো স্বাস্থ্য বাজেট ২০২২-২৩’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যখাতে যেই পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সক্ষমতার অভাবে তার অধিকাংশই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খরচ করতে পারে না— সভায় এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতা আছে। কিন্তু আমরা আসলে পারিপার্শ্বিকতার শিকার। যে কারণে চাইলেও যথাসময়ে বরাদ্দ খরচ করতে পারা যায় না।
তিনি বলেন, বরাবরই আমাদের বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাজেট বাস্তবায়নে স্লো। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকে না। আমাদের বেশিরভাগ কাজ পিডব্লিউডি করে থাকে, তারা অনেক স্লো কাজ করে। তারা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়, যে কারণে সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
জাহিদ মালেক বলেন, গত বছরে চারটি মেডিকেল কলেজের কাজের মধ্যে তিনটির টেন্ডার করার পরও আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারিনি। যেকোনো একটা খরচের ক্ষেত্রে সবার আগে ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রিতে ছাড়ের জন্য যেতে হয়, সেখানে অনেক সময় লাগে। আমাদের জনবলের সংকট আছে। তবে আমাদের দক্ষতারও ঘাটতি আছে।
তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় কম বেড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য গবেষণায় বাজেট বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিষয়েও বাজেটে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবাইকে সতর্কভাবে জীবন যাপন করতে হবে। মাস্ক পরার পাশাপাশি টিকা নিতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ভালো করেছে বলেই বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান রয়েছে ২৩তম স্থানে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ।