৩১ চিকিৎসক পদের ২২টিই শূন্য

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-06-13 14:04:37
৩১ চিকিৎসক পদের ২২টিই শূন্য

হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত মোট ৬৪৩টি পদের বড় অংশই শূন্য

পাবনা মানসিক হাসপাতালে ৩১ চিকিৎসক পদের ২২টিই শূন্য। শুধু তাই নয়, ৫০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য অনুমোদন রয়েছে মাত্র ২০০ শয্যার জনবল। যার বড় অংশই আবার বর্তমানে শূন্য।

রবিবার (১২ জুন) পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার পাল।

সংসকট সমাধানে গোলাম ফারুক মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।

বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার পাল জানান, মানসিক হাসপাতালে সব সময়ই রোগীর চাপ থাকে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকের মঞ্জুরিকৃত ৩১টি পদের বিপরীতে বর্তমানে আছেন মাত্র ৯ জন। হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত মোট ৬৪৩টি পদের বড় অংশই শূন্য। বিশেষায়িত হাসপাতাল হলেও চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক, আবাসিক সাইক্রিয়াটিস্ট, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও), অ্যানেসথেটিস্ট, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, ডেন্টাল সার্জন ও এসএলপিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক ছাড়াই চলছে কার্যক্রম। ফলে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। রোগীর চাপ অনুপাতে শয্যাসংখ্যা কমপক্ষে এক হাজারে উন্নীত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালের জন্য অনুমোদন রয়েছে মাত্র ২০০ শয্যার হাসপাতালের জনবল, যার বড় অংশই আবার বর্তমানে শূন্য।

বৈঠক শেষে গোলাম ফারুক বলেন, মানসিক হাসপাতাল পাবনার গর্বের প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে রোগীর অনুপাতে চিকিৎসক একদমই অপ্রতুল। অবকাঠামোগত ঘাটতিও রয়েছে। সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আমি সংসদে ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। খুব শিগগিরই এগুলো সমাধান করা হবে বলে আশা করছি।

১৯৫৭ সালে পাবনার সাবেক সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হোসেন গাঙ্গুলি ‘শীতলাই হাউজ’ নামে একটি জমিদারবাড়িতে অস্থায়ীভাবে মানসিক হাসপাতাল স্থাপন করেন। পরে ১৯৫৯ সালে জেলা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে হেমায়েতপুরে ১১২.২৫ একরের একটি চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যাসংখ্যা ছিল ৬০। ১৯৫৯ সালে ২০০, ১৯৬৬ সালে ৪০০ এবং ২০০০ সালে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। মোট শয্যার ২৮০টি নন-পেয়িং, ১২০টি পেয়িং এবং একটি প্রকল্পের অধীনে রয়েছে ১০০ শয্যা।

হাসপাতালের মোট ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরুষদের জন্য ১৩ (১১টি নন-পেয়িং, দুটি পেয়িং) এবং নারীদের জন্য পাঁচটি (চারটি নন-পেয়িং, একটি পেয়িং) নির্দিষ্ট।


আরও দেখুন: